ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বোরকা পরে সিনেটে উপস্থিত অস্ট্রেলিয়ান নেতা

নিজস্ব সংবাদ :

বোরকা

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিরোধী দল ওয়ান নেশন পার্টির নেতা পলিন হ্যানসন বোরকা পরে অস্ট্রেলিয়ান সিনেটে উপস্থিত হন। যাতে মুসলিম পোশাকটি জনসাধারণে নিষিদ্ধ করার তার রাজনৈতিক প্রচারণা ফুটে ওঠে। যা বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এই ঘটনায় মুসলিম সেনেটররা তাকে বর্ণবাদের অভিযোগ করেন।

যখন পলিন হ্যানসনকে অস্ট্রেলিয়ার জনসাধারণের স্থানে বোরকা এবং অন্যান্য সম্পূর্ণ মুখ ঢাকার পোশাক নিষিদ্ধ করার একটি বিল প্রস্তাব করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, ঠিক তখনই তিনি এই কাণ্ড ঘটান। পার্লামেন্টে হ্যানসনের বোরকা পরে উপস্থিত হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। তিনি চাইছেন, জনসাধারণের মধ্যে বোরকা পরাকে নিষিদ্ধ করা হোক। হ্যানসন বোরকা পরে চেম্বারে প্রবেশ করলে সিনেটে ক্ষোভের ঝড় ওঠে এবং তিনি তা খুলতে অস্বীকার করলে সভা স্থগিত করা হয়।

নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রীন্স পার্টির মুসলিম সেনেটর মেহরিন ফারুকি বলেন, ‘তিনি একজন ব্যক্তি একটি বর্ণবাদী সেনেটর, স্পষ্টভাবে বর্ণবাদের প্রদর্শন করছে।’ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার স্বাধীন সেনেটর ফাতিমা পাইম্যান এই কাণ্ডকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যায়িত করেন। অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্র-বাম লেবার সরকারের সিনেটে নেতা পেনি ওয়ং এবং বিরোধী জোটের সিনেট উপনেতাও অ্যান রাসটন হ্যানসনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন।

ওয়ং বলেন, এটি অস্ট্রেলিয়ার সেনেটর পদপ্রার্থী হিসেবে অযোগ্য।

তিনি হ্যানসনকে বোরকা না খুললে স্থগিত করার প্রস্তাব দেন। হ্যানসন চলে যেতে অস্বীকার করলে সিনেটের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। কুইন্সল্যান্ডের এই সেনেটর হ্যানসন ১৯৯০-এর দশকে এশিয়া থেকে অভিবাসন ও আশ্রয়প্রার্থী প্রবেশের কঠোর বিরোধের কারণে খ্যাতি পান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৪:২৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
৩৬ বার পড়া হয়েছে

বোরকা পরে সিনেটে উপস্থিত অস্ট্রেলিয়ান নেতা

আপডেট সময় ০৪:২৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিরোধী দল ওয়ান নেশন পার্টির নেতা পলিন হ্যানসন বোরকা পরে অস্ট্রেলিয়ান সিনেটে উপস্থিত হন। যাতে মুসলিম পোশাকটি জনসাধারণে নিষিদ্ধ করার তার রাজনৈতিক প্রচারণা ফুটে ওঠে। যা বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এই ঘটনায় মুসলিম সেনেটররা তাকে বর্ণবাদের অভিযোগ করেন।

যখন পলিন হ্যানসনকে অস্ট্রেলিয়ার জনসাধারণের স্থানে বোরকা এবং অন্যান্য সম্পূর্ণ মুখ ঢাকার পোশাক নিষিদ্ধ করার একটি বিল প্রস্তাব করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, ঠিক তখনই তিনি এই কাণ্ড ঘটান। পার্লামেন্টে হ্যানসনের বোরকা পরে উপস্থিত হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। তিনি চাইছেন, জনসাধারণের মধ্যে বোরকা পরাকে নিষিদ্ধ করা হোক। হ্যানসন বোরকা পরে চেম্বারে প্রবেশ করলে সিনেটে ক্ষোভের ঝড় ওঠে এবং তিনি তা খুলতে অস্বীকার করলে সভা স্থগিত করা হয়।

নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রীন্স পার্টির মুসলিম সেনেটর মেহরিন ফারুকি বলেন, ‘তিনি একজন ব্যক্তি একটি বর্ণবাদী সেনেটর, স্পষ্টভাবে বর্ণবাদের প্রদর্শন করছে।’ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার স্বাধীন সেনেটর ফাতিমা পাইম্যান এই কাণ্ডকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যায়িত করেন। অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্র-বাম লেবার সরকারের সিনেটে নেতা পেনি ওয়ং এবং বিরোধী জোটের সিনেট উপনেতাও অ্যান রাসটন হ্যানসনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন।

ওয়ং বলেন, এটি অস্ট্রেলিয়ার সেনেটর পদপ্রার্থী হিসেবে অযোগ্য।

তিনি হ্যানসনকে বোরকা না খুললে স্থগিত করার প্রস্তাব দেন। হ্যানসন চলে যেতে অস্বীকার করলে সিনেটের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। কুইন্সল্যান্ডের এই সেনেটর হ্যানসন ১৯৯০-এর দশকে এশিয়া থেকে অভিবাসন ও আশ্রয়প্রার্থী প্রবেশের কঠোর বিরোধের কারণে খ্যাতি পান।