ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বীপকে শ্রদ্ধা-ভালবাসায় শেষ বিদায় দিল সিলেটবাসী

নিজস্ব সংবাদ :

দ্বীপকে শ্রদ্ধা-ভালবাসায় শেষ বিদায় সিলেটবাসী

প্রায় এক সপ্তাহের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দ্বীপের লাশ সিলেট এলো। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অসীম ভালবাসায় সজল নয়নে করুন আর্তিতে আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু-অনুরাগীরা শেষবিদায় জানালেন তাকে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে অকালপ্রয়াত কনটেন্ট ক্রিয়েটর দ্বীপঙ্কর দাস দ্বীপর লাশ সিলেটের দক্ষিণ সুরমাস্থ গোপালটিলায় পেীঁছালে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং আত্মীয়-স্বজনন ও ভক্ত অনুরাগীদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এরপর সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে নির্মিত বেদীতে লাশ রাখার পর সবার অনুরোধে দ্বীপের মুখ দেখতে কফিন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

পরে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। গোপালটিলা এলাকাবাসীসহ সিলেটের বিভিন্ন সমাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ দ্বীপর লাশে ফুলেল শদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় বক্তারা সংক্ষেপে তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, দ্বীপ ছিলেন অসাধারণ একজন প্রতিভাধর কনটেন্ট ক্রিয়েটর। নিজে যেমন হাসতেন তেমনি লোকজনকে সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে হাসাতে ভালোবাসতেন।

তারা বলেন, এত অল্পবয়সে দ্বীপ এত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল যে, সিলেটের জকিগঞ্জ কানাইঘাট থেকেও তার ভক্ত-অনুরাগীরা ছুটে এসেছেন তাকে শ্রদ্ধা জানাতে। তিনি কেবল গোপাল টিলাবাসীর জন্যই নয়, সিলেটবাসীর গর্ব ছিলেন। তারা আরও বলেন, দ্বীপ বড়দের সম্মান এবং ছোটোদের ¯েœহ করতেন। সবার সঙ্গে তার ব্যবহার ছিল অমায়িক। কোনো অহংকার ছিলনা তার। আর তাই মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি সবার হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

গোপলটিলাবাসীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে এবং দ্বীপের মৃত্যুর পর তার প্রতিটি সংবাদ গুরুত্বসহকারে গণমাধ্যমে তুলে ধরায় সাংবাদিক সমাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকেও সমবেত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং দ্বীপর বিদেহীর আত্মার শান্তির জন্য সবার আশীর্বাদ চাওয়া হয়েছে।

তার বাবা দিব্যজ্যোতি দাস’র অবস্থা করুন। শোকে অনেকটা পাথর তিনি। কিন্তু তবু অশ্রæসিক্ত নয়নে সমবেত ভক্ত-অনুরাগী ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে ছেলের জন্য আশির্বাদ চেয়েছেন তিনি।

এরপর তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় হবিগঞ্জের বাহুবল থানার পুটিজুড়ি গ্রামে। সেখানেও শোকাহত মানুষের ঢল নামে। তাকে দেখতে বাড়িতে ভীড় জমান এলাকার সর্বস্থরের মানুষ। লাশ দাহ করার আগে সেখানেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং দ্বীপর বন্ধু-বান্ধব স্বজন শুভাকাংখীরা তাঁর স্মৃতিচারণ করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৬:০৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
২৭ বার পড়া হয়েছে

দ্বীপকে শ্রদ্ধা-ভালবাসায় শেষ বিদায় দিল সিলেটবাসী

আপডেট সময় ০৬:০৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

প্রায় এক সপ্তাহের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দ্বীপের লাশ সিলেট এলো। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অসীম ভালবাসায় সজল নয়নে করুন আর্তিতে আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু-অনুরাগীরা শেষবিদায় জানালেন তাকে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে অকালপ্রয়াত কনটেন্ট ক্রিয়েটর দ্বীপঙ্কর দাস দ্বীপর লাশ সিলেটের দক্ষিণ সুরমাস্থ গোপালটিলায় পেীঁছালে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং আত্মীয়-স্বজনন ও ভক্ত অনুরাগীদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এরপর সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে নির্মিত বেদীতে লাশ রাখার পর সবার অনুরোধে দ্বীপের মুখ দেখতে কফিন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

পরে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। গোপালটিলা এলাকাবাসীসহ সিলেটের বিভিন্ন সমাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ দ্বীপর লাশে ফুলেল শদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় বক্তারা সংক্ষেপে তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, দ্বীপ ছিলেন অসাধারণ একজন প্রতিভাধর কনটেন্ট ক্রিয়েটর। নিজে যেমন হাসতেন তেমনি লোকজনকে সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে হাসাতে ভালোবাসতেন।

তারা বলেন, এত অল্পবয়সে দ্বীপ এত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল যে, সিলেটের জকিগঞ্জ কানাইঘাট থেকেও তার ভক্ত-অনুরাগীরা ছুটে এসেছেন তাকে শ্রদ্ধা জানাতে। তিনি কেবল গোপাল টিলাবাসীর জন্যই নয়, সিলেটবাসীর গর্ব ছিলেন। তারা আরও বলেন, দ্বীপ বড়দের সম্মান এবং ছোটোদের ¯েœহ করতেন। সবার সঙ্গে তার ব্যবহার ছিল অমায়িক। কোনো অহংকার ছিলনা তার। আর তাই মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি সবার হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

গোপলটিলাবাসীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে এবং দ্বীপের মৃত্যুর পর তার প্রতিটি সংবাদ গুরুত্বসহকারে গণমাধ্যমে তুলে ধরায় সাংবাদিক সমাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকেও সমবেত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং দ্বীপর বিদেহীর আত্মার শান্তির জন্য সবার আশীর্বাদ চাওয়া হয়েছে।

তার বাবা দিব্যজ্যোতি দাস’র অবস্থা করুন। শোকে অনেকটা পাথর তিনি। কিন্তু তবু অশ্রæসিক্ত নয়নে সমবেত ভক্ত-অনুরাগী ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে ছেলের জন্য আশির্বাদ চেয়েছেন তিনি।

এরপর তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় হবিগঞ্জের বাহুবল থানার পুটিজুড়ি গ্রামে। সেখানেও শোকাহত মানুষের ঢল নামে। তাকে দেখতে বাড়িতে ভীড় জমান এলাকার সর্বস্থরের মানুষ। লাশ দাহ করার আগে সেখানেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং দ্বীপর বন্ধু-বান্ধব স্বজন শুভাকাংখীরা তাঁর স্মৃতিচারণ করেন।