ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদ :

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ, (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ১৩ অক্টোবর সকাল ১১ টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা ক্যাম্পাস শিক্ষা অফিসের সামনে ব্যপক অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ক্ষমতার অপব্যবহারকারী সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বর্তমান রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজ ও সচেতন জনতার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিনাজপুরে কর্মরত অবস্থায় ভুতপুর্ব জেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বীরগঞ্জের মদনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম কে নিয়ম বহির্ভূত, বেআইনিভাবে বিনা নোটিশে উপযুক্ত কারন ছাড়াই, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আক্রোশ মূলকভাবে ৯ ঘন্টার মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং চাকরিচ্যুৎ করার হীন তৎপরতা অব্যাহত রাখেন।

ষড়যন্ত্রমূলক বিভাগীয় মামলা করিয়ে সীমাহীন হয়রানি করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ৭ কার্য দিবস উল্লেখ করে সহকারী পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি পত্র প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় উপ-পরিচালক রংপুর কে চলতি বছর ১৬ জানু প্রদান করা হয়।

দুঃখ জনক হলেও সত্য উদাসিন বিভাগীয় উপ-পরিচালক চলতি দায়িত্ব রংপুর মোঃ আজিজুর রহমান ৮ মাস ২৭ দিন কাল ক্ষেপন করার পর ১৩ অক্টোবর সোমবার লোক দেখানো তদন্ত করতে এলেও অভিযুক্ত সাবেক ডিপিইও নজরুল ইসলাম আসেন নাই।

তদন্তে ধীরগতি মানেই হচ্ছে অপরাধীকে আড়াল করার ঘৃন্য প্রয়াস।

ভিতরে সুষ্ঠভাবে তদন্ত চললেও অফিসের সামনে চলছিল অহেতুক শিক্ষক হয়রানীর অপরাধে সীমাহীন দূর্নীতিবাজ, ঘুষঘোর, সেচ্ছাচারী, প্রতিহিংসা পরায়ন, ডিজিটাল প্রজেক্টর ক্যালেঙ্কারির হোতা সাবেক দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় সচেতন সুশীল সমাজের মানববন্ধন।

৮ মাস ভোগান্তির পর ইতোমধ্যে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে বর্তমান জেলা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। পত্রের মাধম্যে অবগত করার পরেও অভিযুক্ত জেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম তদন্ত স্থলে উপস্থিত হন নাই।

তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান অসন্তোষ প্রকাশ করেন, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উপস্থিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।

সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম কর্মস্থলে যোগদান করেছেন মর্মে স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র দাস।

মানববন্ধনে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ দূর্নীতিবাজ জেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৮:৫৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
৬১ বার পড়া হয়েছে

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৮:৫৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ, (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ১৩ অক্টোবর সকাল ১১ টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা ক্যাম্পাস শিক্ষা অফিসের সামনে ব্যপক অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ক্ষমতার অপব্যবহারকারী সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বর্তমান রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজ ও সচেতন জনতার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিনাজপুরে কর্মরত অবস্থায় ভুতপুর্ব জেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বীরগঞ্জের মদনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম কে নিয়ম বহির্ভূত, বেআইনিভাবে বিনা নোটিশে উপযুক্ত কারন ছাড়াই, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আক্রোশ মূলকভাবে ৯ ঘন্টার মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং চাকরিচ্যুৎ করার হীন তৎপরতা অব্যাহত রাখেন।

ষড়যন্ত্রমূলক বিভাগীয় মামলা করিয়ে সীমাহীন হয়রানি করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ৭ কার্য দিবস উল্লেখ করে সহকারী পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি পত্র প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় উপ-পরিচালক রংপুর কে চলতি বছর ১৬ জানু প্রদান করা হয়।

দুঃখ জনক হলেও সত্য উদাসিন বিভাগীয় উপ-পরিচালক চলতি দায়িত্ব রংপুর মোঃ আজিজুর রহমান ৮ মাস ২৭ দিন কাল ক্ষেপন করার পর ১৩ অক্টোবর সোমবার লোক দেখানো তদন্ত করতে এলেও অভিযুক্ত সাবেক ডিপিইও নজরুল ইসলাম আসেন নাই।

তদন্তে ধীরগতি মানেই হচ্ছে অপরাধীকে আড়াল করার ঘৃন্য প্রয়াস।

ভিতরে সুষ্ঠভাবে তদন্ত চললেও অফিসের সামনে চলছিল অহেতুক শিক্ষক হয়রানীর অপরাধে সীমাহীন দূর্নীতিবাজ, ঘুষঘোর, সেচ্ছাচারী, প্রতিহিংসা পরায়ন, ডিজিটাল প্রজেক্টর ক্যালেঙ্কারির হোতা সাবেক দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় সচেতন সুশীল সমাজের মানববন্ধন।

৮ মাস ভোগান্তির পর ইতোমধ্যে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে বর্তমান জেলা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। পত্রের মাধম্যে অবগত করার পরেও অভিযুক্ত জেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম তদন্ত স্থলে উপস্থিত হন নাই।

তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান অসন্তোষ প্রকাশ করেন, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উপস্থিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।

সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম কর্মস্থলে যোগদান করেছেন মর্মে স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র দাস।

মানববন্ধনে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ দূর্নীতিবাজ জেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন।