ডিজিএফআই বিলুপ্তের পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) বিলুপ্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেছেন, ‘বৈদেশিক গোয়েন্দা কার্যক্রমে নজরদারি ও গুরুত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার সংস্থাটি সংস্কারের কথা বিবেচনা করছে।’
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টা ২০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দেন তিনি।
পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কোনো পরিকল্পনা নেই।’
জনগণকে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রেস সচিব যোগ করেন, ‘এসব সাধারণ জনগণ এবং বিশেষত সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্টা।’
তিনি আরও লিখেন, ‘এই বিদ্বেষপূর্ণ গুজবের উদ্দেশ্য হলো আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করা।’
এদিকে শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান ‘গত ৮ অক্টোবর আইসিটিত প্রথম দুটি চার্জশিট জমা পড়ে। এরপর তৃতীয় আরেকটা চার্জশিট জমা পরে। এই সংবাদটি আসা শুরু করেছে ওইদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে। আমরা টিভি স্ক্রলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি চার্জশিট জমা পড়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল এক্সেপটেড হয়েছে। চার্জশিটগুলোর মধ্যে একটা ছিল গুমসংক্রান্ত।
যারা তখন ডিজিএফআইয়ে কর্মরত ছিলেন, তাদের একটা বড় অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। আরেকটা ছিল র্যাবের টিএফআই নিয়ে, আরেকটা গত বছরের ৪-৫ আগস্টের রামপুরার ঘটনা নিয়ে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে গেল। পরোয়ানার পর আইজিপির কাছে চলে যায়। নিয়ম অনুযায়ী এবং ২২ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো চার্জশিট কিংবা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি। চার্জশিটে প্রায় ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে। এর মধ্যে অবসরে আছেন ৯ কর্মকর্তা, এলপিআরে আছেন একজন কর্মকর্তা ও কর্মরত আছেন ১৫ জন। যারা অবসরে চলে গেছেন তাদের প্রতি আমাদের সেনা আইন ওইভাবে খাটে না।’
তিনি আর বলেন, ‘তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধান স্বীকৃতি বাংলাদেশের সকল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ অক্টোবর কর্মরত ১৫ ও এলপিআরে থাকা ১ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য একটা আদেশ সংযুক্তি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আদেশে তাদের বলা হয়, ৯ অক্টোবর তারা যেন ঢাকা সেনানিবাসে সেনা হেফাজতে চলে আসেন। আমরা কিন্তু এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি বা পুলিশও আমাদের কিছু জানায়নি। তারপরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণে এসব কর্মকর্তাদের হেফাজতে আসার জন্য আদেশ দিয়ে দেয়।’





















