ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
টক শো, সংলাপে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কটূক্তি না করার নির্দেশ সচিবালয়ে ভাতার দাবিতে আন্দোলন: ১৪ কর্মচারী বরখাস্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানাল ভারত শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা জানা গেলো ওসমান হাদির স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা হাদির উপর হামলাকারী শুটার ফয়সালের মা-বাবা গ্রেপ্তার দেশে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইপিএলে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কলকাতায় মুস্তাফিজ যারা ভোট বাক্স ডাকাতি করবে তারা মানুষের স্বাধীনতা হরণকারী : প্রধান উপদেষ্টা হাদিকে গুলি : ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে

সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই: জামায়াত আমির

নিজস্ব সংবাদ :

সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই: জামায়াত আমির

 

গুম-খুনে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারে সহায়তা ও হেফাজতে নেওয়ায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।রোববার সকালে নিজের ফেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াত আমির লিখেছেন, গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ গর্বিত থাকতে চান। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই বাহিনীর কতিপয় সদস্য দেশের বিদ্যমান আইন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্ররোচনা প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছিলেন অন্ধ সহযোগী। ফলে গুম এবং খুনের একটি ভীতিকর পরিবেশ দেশে সৃষ্টি হয়েছিল, যা একটি জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়।

তবে সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির অপরাধের কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরই বর্তাবে।

ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই বিচারপ্রক্রিয়াকে সহায়তা করার স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

জামায়াত আমির বলেছেন, আমরা আশা করি, কারো ওপর কোনো অবিচার চাপিয়ে দেওয়া হবে না। স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট অপরাধীরা যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি হবেন। এতে যেমন অতীতের দায় মুছে যাবে, তেমনি ভবিষ্যতে কেউ নিজের পেশা বা পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবেন। পরিণতিতে দীর্ঘমেয়াদে জাতি উপকৃত হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৩:৪৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
৬৩ বার পড়া হয়েছে

সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই: জামায়াত আমির

আপডেট সময় ০৩:৪৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

 

গুম-খুনে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারে সহায়তা ও হেফাজতে নেওয়ায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।রোববার সকালে নিজের ফেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াত আমির লিখেছেন, গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ গর্বিত থাকতে চান। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই বাহিনীর কতিপয় সদস্য দেশের বিদ্যমান আইন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্ররোচনা প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছিলেন অন্ধ সহযোগী। ফলে গুম এবং খুনের একটি ভীতিকর পরিবেশ দেশে সৃষ্টি হয়েছিল, যা একটি জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়।

তবে সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির অপরাধের কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরই বর্তাবে।

ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই বিচারপ্রক্রিয়াকে সহায়তা করার স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

জামায়াত আমির বলেছেন, আমরা আশা করি, কারো ওপর কোনো অবিচার চাপিয়ে দেওয়া হবে না। স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট অপরাধীরা যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি হবেন। এতে যেমন অতীতের দায় মুছে যাবে, তেমনি ভবিষ্যতে কেউ নিজের পেশা বা পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবেন। পরিণতিতে দীর্ঘমেয়াদে জাতি উপকৃত হবে।