ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনায় নেতানিয়াহু রাজি

নিজস্ব সংবাদ :

গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাজি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘কীভাবে গাজায় যুদ্ধ শেষ করা যায়’ তা নিয়ে সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। হামাসকে এই প্রস্তাবে রাজি করাতে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা কাজ করবেন উল্লেখ করে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, হামাস এই প্রস্তাবে রাজি হবে।

সোমবার হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এসব কথা জানান।

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হামাসের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠকের সময় তারা কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানির সঙ্গে কথা বলেন। ফোনালাপে চলতি মাসের শুরুতে কাতারে হামলা চালানোর ঘটনায় আল-থানির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন নেতানিয়াহু। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এই প্রস্তাব (২০ দফা) ‘অত্যন্ত ন্যায্য’।

তিনি বলেন, অনেক ফিলিস্তিনি শান্তিতে বসবাস করতে চান। কিন্তু তাদের ‘নিজেদের ভাগ্যের দায়িত্ব নেওয়া’ প্রয়োজন। ফিলিস্তিনিরা হামাসের সঙ্গে ‘দুর্বিষহ জীবনযাপন’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার আগে ২০ দফার প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস।

এতে বলা হয়, চুক্তি কার্যকরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাসকে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, হামাসের যাবতীয় অস্ত্র ধ্বংস করা হবে। যারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে প্রতিশ্রুতি দেবেন, তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর হামাসের যেসব সদস্য গাজা ছাড়তে চান, তাদের নিরাপদে অন্য দেশে যেতে সহায়তা করা হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন হামাসও এই পরিকল্পনায় রাজি আছে।

হামাস যদি এই পরিকল্পনায় একমত হয়, তাহলে ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্ত হবে এবং গাজা যুদ্ধ শেষ হবে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে আরব ও মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। তাদের সঙ্গে তিনি এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর বৈঠকের আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার খুব কাছাকাছি আছে। এখন ইসরায়েলের অবস্থান কী, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। লেভিট বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য উভয় পক্ষকেই কিছু ছাড় দিতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৬:২৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৬৬ বার পড়া হয়েছে

ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনায় নেতানিয়াহু রাজি

আপডেট সময় ০৬:২৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাজি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘কীভাবে গাজায় যুদ্ধ শেষ করা যায়’ তা নিয়ে সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। হামাসকে এই প্রস্তাবে রাজি করাতে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা কাজ করবেন উল্লেখ করে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, হামাস এই প্রস্তাবে রাজি হবে।

সোমবার হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এসব কথা জানান।

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হামাসের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠকের সময় তারা কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানির সঙ্গে কথা বলেন। ফোনালাপে চলতি মাসের শুরুতে কাতারে হামলা চালানোর ঘটনায় আল-থানির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন নেতানিয়াহু। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এই প্রস্তাব (২০ দফা) ‘অত্যন্ত ন্যায্য’।

তিনি বলেন, অনেক ফিলিস্তিনি শান্তিতে বসবাস করতে চান। কিন্তু তাদের ‘নিজেদের ভাগ্যের দায়িত্ব নেওয়া’ প্রয়োজন। ফিলিস্তিনিরা হামাসের সঙ্গে ‘দুর্বিষহ জীবনযাপন’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার আগে ২০ দফার প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস।

এতে বলা হয়, চুক্তি কার্যকরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাসকে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, হামাসের যাবতীয় অস্ত্র ধ্বংস করা হবে। যারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে প্রতিশ্রুতি দেবেন, তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর হামাসের যেসব সদস্য গাজা ছাড়তে চান, তাদের নিরাপদে অন্য দেশে যেতে সহায়তা করা হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন হামাসও এই পরিকল্পনায় রাজি আছে।

হামাস যদি এই পরিকল্পনায় একমত হয়, তাহলে ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্ত হবে এবং গাজা যুদ্ধ শেষ হবে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে আরব ও মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। তাদের সঙ্গে তিনি এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর বৈঠকের আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার খুব কাছাকাছি আছে। এখন ইসরায়েলের অবস্থান কী, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। লেভিট বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য উভয় পক্ষকেই কিছু ছাড় দিতে হবে।