ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
টক শো, সংলাপে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কটূক্তি না করার নির্দেশ সচিবালয়ে ভাতার দাবিতে আন্দোলন: ১৪ কর্মচারী বরখাস্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানাল ভারত শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা জানা গেলো ওসমান হাদির স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা হাদির উপর হামলাকারী শুটার ফয়সালের মা-বাবা গ্রেপ্তার দেশে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইপিএলে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কলকাতায় মুস্তাফিজ যারা ভোট বাক্স ডাকাতি করবে তারা মানুষের স্বাধীনতা হরণকারী : প্রধান উপদেষ্টা হাদিকে গুলি : ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে

শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব সংবাদ :

শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা

 

বিদেশে কর্মসংস্থানের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে দালাল চক্র এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও প্রবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্রমশক্তি রপ্তানির পুরো প্রক্রিয়াই দালালদের দখলে চলে গেছে, যার ফলে প্রতারণার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।

তিনি আরও বলেন, এই শ্রমশক্তি রপ্তানি খাতকে দালাল মুক্ত করতে না পারলে উন্নতি সম্ভব না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমিকদের মুক্তির কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা অনেক কষ্ট করে বিদেশ গেছেন। সেখানে আইন অমান্য করলে কি শাস্তি হবে সবই জানতো, তারপরও দেশের জন্য আইন ভাঙল। পরবর্তীতে ওই দেশের সরকারকে অনুরোধ করলাম, তিনি তাদের মুক্তি দিলেন।

তিনি বলেন, আমি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আনোয়ার ইব্রাহিম এখানে আসলেন। তখন খবর পেলাম ১৭ হাজার শ্রমিক মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। তারা সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। আনোয়ার ইব্রাহিমকে বললাম, এদেরকে নিয়ে যেতে হবে। বন্ধু (আনোয়ার ইব্রাহিম) মানুষ না করতে পারেনি। বলছে, ঠিক আছে নিয়ে যাব। পরবর্তীতে মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে এগুলো নিয়ে কাজ করলাম। তখন দেখা গেছে, পুরো জগৎটা দালাল-সিন্ডিকেট ভরা। সরকার এখান থেকে অনেকদূরে। এ হলো বিদেশ যারা যেতে চাচ্ছেন, তাদের কপাল।

ড. ইউনূস বলেন, জাপান সফরে গেলাম। তারা বলল, লোক দরকার। আমরা বললাম, আমরা তো লোক নিয়ে বসে আছি। কত লোক লাগবে। বলল, জানাবে। তারা নেপাল থেকে ৭ হাজার লোক নিয়েছে। আমি জানতে চাইলাম, বাংলাদেশ থেকে কত নিয়েছে? বলল, মাত্র ২ হাজার। শুনে অবাক হলাম, নেপাল থেকে এতো হলে, বাংলাদেশ থেকে কম কেন। আমাকে জিজ্ঞেস করল, কত দিতে পারব। আমি বললাম একলাখ লোক দিতে পারব। শুধু ভাষা শিখলে ওখানে যেতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, জাপানের বহু শহরে ট্যাক্সি বন্ধ হয়ে গেছে, ড্রাইভার নেই। মাইলের পর মাইল খালি জমি পড়ে আছে, জনশূন্য। তারা বলল, লোক পাঠাও আমরা যাতে এগুলো চালু করতে পারি। চাষাবাদ করতে পারি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীতে তারুণ্যের অভাব, আমরা তারুণ্যের খনি। এটা সোনার চেয়েও দামি। সারা পৃথিবীকে আমাদের কাছে আসতে হবেই, এত তরুণ জনশক্তি আর কোথাও নাই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৪:০০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
১ বার পড়া হয়েছে

শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:০০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

 

বিদেশে কর্মসংস্থানের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে দালাল চক্র এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও প্রবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্রমশক্তি রপ্তানির পুরো প্রক্রিয়াই দালালদের দখলে চলে গেছে, যার ফলে প্রতারণার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।

তিনি আরও বলেন, এই শ্রমশক্তি রপ্তানি খাতকে দালাল মুক্ত করতে না পারলে উন্নতি সম্ভব না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমিকদের মুক্তির কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা অনেক কষ্ট করে বিদেশ গেছেন। সেখানে আইন অমান্য করলে কি শাস্তি হবে সবই জানতো, তারপরও দেশের জন্য আইন ভাঙল। পরবর্তীতে ওই দেশের সরকারকে অনুরোধ করলাম, তিনি তাদের মুক্তি দিলেন।

তিনি বলেন, আমি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আনোয়ার ইব্রাহিম এখানে আসলেন। তখন খবর পেলাম ১৭ হাজার শ্রমিক মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। তারা সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। আনোয়ার ইব্রাহিমকে বললাম, এদেরকে নিয়ে যেতে হবে। বন্ধু (আনোয়ার ইব্রাহিম) মানুষ না করতে পারেনি। বলছে, ঠিক আছে নিয়ে যাব। পরবর্তীতে মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে এগুলো নিয়ে কাজ করলাম। তখন দেখা গেছে, পুরো জগৎটা দালাল-সিন্ডিকেট ভরা। সরকার এখান থেকে অনেকদূরে। এ হলো বিদেশ যারা যেতে চাচ্ছেন, তাদের কপাল।

ড. ইউনূস বলেন, জাপান সফরে গেলাম। তারা বলল, লোক দরকার। আমরা বললাম, আমরা তো লোক নিয়ে বসে আছি। কত লোক লাগবে। বলল, জানাবে। তারা নেপাল থেকে ৭ হাজার লোক নিয়েছে। আমি জানতে চাইলাম, বাংলাদেশ থেকে কত নিয়েছে? বলল, মাত্র ২ হাজার। শুনে অবাক হলাম, নেপাল থেকে এতো হলে, বাংলাদেশ থেকে কম কেন। আমাকে জিজ্ঞেস করল, কত দিতে পারব। আমি বললাম একলাখ লোক দিতে পারব। শুধু ভাষা শিখলে ওখানে যেতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, জাপানের বহু শহরে ট্যাক্সি বন্ধ হয়ে গেছে, ড্রাইভার নেই। মাইলের পর মাইল খালি জমি পড়ে আছে, জনশূন্য। তারা বলল, লোক পাঠাও আমরা যাতে এগুলো চালু করতে পারি। চাষাবাদ করতে পারি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীতে তারুণ্যের অভাব, আমরা তারুণ্যের খনি। এটা সোনার চেয়েও দামি। সারা পৃথিবীকে আমাদের কাছে আসতে হবেই, এত তরুণ জনশক্তি আর কোথাও নাই।