ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়-পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব সংবাদ :

জয়-পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা পৃথক তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ২১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছর, এক মামলায় জয় ও পুতুলের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার তিন লাখ এবং জয় ও পুতুলের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকারকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত অন্যরা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), রাজউকের সাবেক সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান, সাবেক সহকারী পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

তাদের মধ্যে দুই মামলায় সালাহ উদ্দিনের ১২ বছর ও দুই লাখ টাকা জরিমানা, তিন মামলায় শরীফ, শাহিদ এবং ওয়াসীর ১৮ বছর কারাদণ্ড ও তিন লাখ জরিমানা, আনিসুরের তিন মামলায় ১৫ বছর ও তিন লাখ জরিমানা, তিন মামলায় নাসির ও সামসুদ্দিনের নয় বছর ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, পুরবী গোলদারের তিন মামলায় তিন বছর ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, দুই মামলায় তন্ময় ও নুরুলের ছয় বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, এক মামলায় কবির, শাহিনুল ও কামরুলের তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, এক মামলায় হাফিজুর, হাবিবুর ও মাজহারুলের এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, তিন মামলায় খুরশীদের তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এর আগে বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলায় একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুদকের আইনজীবীরাও। পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়।

গত ১৭ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে এক আসামি খুরশীদ আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি। পরে গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৫:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
২৩ বার পড়া হয়েছে

জয়-পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৫:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা পৃথক তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ২১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছর, এক মামলায় জয় ও পুতুলের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার তিন লাখ এবং জয় ও পুতুলের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকারকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত অন্যরা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), রাজউকের সাবেক সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান, সাবেক সহকারী পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

তাদের মধ্যে দুই মামলায় সালাহ উদ্দিনের ১২ বছর ও দুই লাখ টাকা জরিমানা, তিন মামলায় শরীফ, শাহিদ এবং ওয়াসীর ১৮ বছর কারাদণ্ড ও তিন লাখ জরিমানা, আনিসুরের তিন মামলায় ১৫ বছর ও তিন লাখ জরিমানা, তিন মামলায় নাসির ও সামসুদ্দিনের নয় বছর ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, পুরবী গোলদারের তিন মামলায় তিন বছর ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, দুই মামলায় তন্ময় ও নুরুলের ছয় বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, এক মামলায় কবির, শাহিনুল ও কামরুলের তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, এক মামলায় হাফিজুর, হাবিবুর ও মাজহারুলের এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, তিন মামলায় খুরশীদের তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এর আগে বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলায় একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুদকের আইনজীবীরাও। পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়।

গত ১৭ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে এক আসামি খুরশীদ আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি। পরে গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন।