ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জের ৪ আসনেই বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান, পিছিয়ে নেই জামায়াতও

নিজস্ব সংবাদ :

হবিগঞ্জের ৪ আসনেই বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান, পিছিয়ে নেই জামায়াতও

উন্নত মানের চায়ের কথা মনে পড়তেই যেকটি জেলার নাম চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তারমধ্যে হবিগঞ্জ অন্যতম। এ জেলার উত্তরে সুনামগঞ্জ ও সিলেট, পূর্বে মৌলভীবাজার, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ জেলায় চারটি সংসদীয় আসন রয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর হবিগঞ্জের সবকটি সংসদীয় আসন। আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। বিএনপি থেকে তিনটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়েছে।

এর মধ্যে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, হবিগঞ্জ-৩ (সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ ও হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. ফয়সাল দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ফাঁকা রাখা হয়েছে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ ও বাহুবল) আসনটি। গুঞ্জন রয়েছে, এ আসনে ড. রেজা কিবরিয়া বিএনপির হয়ে লড়তে পারেন।

জামায়াত থেকে চার আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়েছে। তারা হলেন- হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে দলটির সিলেট মহানগরের সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলী, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শেখ জিল্লুর রহমান আযমী, হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কাজী মহসিন আহমদ ও হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান। একইভাবে গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন।

প্রচারণা জমে উঠেছে। প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গণসংযোগে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময়, স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ এবং নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে। শহর থেকে গ্রাম, শিল্পাঞ্চল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্রই নির্বাচনী প্রচারের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহর ও গ্রামে টানানো হয়েছে রঙিন ফেস্টুন, পোস্টার ও চোখ ধাঁধানো ব্যানার। ফেস্টুনের উজ্জ্বল রঙ আর ব্যানারের দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন ভোটারদের নজর কাড়ছে।

এই জেলার চারটি আসনে সবচেয়ে বেশি তৎপর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। বিএনপির টার্গেট সব আসন নিজেদের দখলে নেওয়া। আর ন্যূনতম ছাড় দিতে নারাজ জামায়াত। তারাও আসনগুলোতে জয়ী হতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এই দুই দলের মধ্যে নির্বাচনে লড়াইয়ের সম্ভাবনা ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে।

ভোটাররা মনে করেন, চারটি আসনে বিএনপি প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই হবে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের। এখানে প্রতিটি আসনে বিএনপির অবস্থান শক্তিশালী। তবে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করলে ভোটের হিসাব-নিকাশে পরিবর্তন আসতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৪:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
৩৯ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জের ৪ আসনেই বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান, পিছিয়ে নেই জামায়াতও

আপডেট সময় ০৪:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

উন্নত মানের চায়ের কথা মনে পড়তেই যেকটি জেলার নাম চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তারমধ্যে হবিগঞ্জ অন্যতম। এ জেলার উত্তরে সুনামগঞ্জ ও সিলেট, পূর্বে মৌলভীবাজার, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ জেলায় চারটি সংসদীয় আসন রয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর হবিগঞ্জের সবকটি সংসদীয় আসন। আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। বিএনপি থেকে তিনটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়েছে।

এর মধ্যে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, হবিগঞ্জ-৩ (সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ ও হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. ফয়সাল দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ফাঁকা রাখা হয়েছে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ ও বাহুবল) আসনটি। গুঞ্জন রয়েছে, এ আসনে ড. রেজা কিবরিয়া বিএনপির হয়ে লড়তে পারেন।

জামায়াত থেকে চার আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়েছে। তারা হলেন- হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে দলটির সিলেট মহানগরের সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলী, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শেখ জিল্লুর রহমান আযমী, হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কাজী মহসিন আহমদ ও হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান। একইভাবে গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন।

প্রচারণা জমে উঠেছে। প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গণসংযোগে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময়, স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ এবং নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে। শহর থেকে গ্রাম, শিল্পাঞ্চল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্রই নির্বাচনী প্রচারের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহর ও গ্রামে টানানো হয়েছে রঙিন ফেস্টুন, পোস্টার ও চোখ ধাঁধানো ব্যানার। ফেস্টুনের উজ্জ্বল রঙ আর ব্যানারের দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন ভোটারদের নজর কাড়ছে।

এই জেলার চারটি আসনে সবচেয়ে বেশি তৎপর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। বিএনপির টার্গেট সব আসন নিজেদের দখলে নেওয়া। আর ন্যূনতম ছাড় দিতে নারাজ জামায়াত। তারাও আসনগুলোতে জয়ী হতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এই দুই দলের মধ্যে নির্বাচনে লড়াইয়ের সম্ভাবনা ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে।

ভোটাররা মনে করেন, চারটি আসনে বিএনপি প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই হবে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের। এখানে প্রতিটি আসনে বিএনপির অবস্থান শক্তিশালী। তবে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করলে ভোটের হিসাব-নিকাশে পরিবর্তন আসতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।