ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকট আকার ধারণ করেছে গাজার দুর্ভিক্ষ, ক্ষুধায় মৃত্যু ১০

নিজস্ব সংবাদ :

প্রকট আকার ধারণ করেছে গাজার দুর্ভিক্ষ, ক্ষুধায় মৃত্যু ১০

জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ এখন বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের অবরোধ ও ধারাবাহিক বোমাবর্ষণের কারণে জরুরি জীবনরক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছাতে না পারায় শিশুরা ক্রমবর্ধমান হারে ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে।

বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক কড়া বক্তব্যে কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ ও ব্যাপক ক্ষুধা একটি ‘পরিকল্পিত’ ও ‘মানুষ সৃষ্ট’ বিপর্যয়।

জাতিসংঘের উপ-মানবিক প্রধান জয়েস মুসুইয়া পরিষদকে জানিয়েছেন, গাজার উত্তর-মধ্য গভর্নরেটে (যেখানে গাজা শহর অবস্থিত) দুর্ভিক্ষ নিশ্চিতভাবে শুরু হয়েছে।

আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এটি দক্ষিণে দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনুস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ৬ লাখ ৪০ হাজার ছাড়াতে পারে। গাজার এমন কোনো মানুষ নেই, যিনি ক্ষুধার অভিঘাত থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।

তিনি আরো জানান, পাঁচ বছরের নিচে অন্তত ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ হাজার শিশু আসন্ন মাসগুলোতে জীবন-সংকটের মুখোমুখি হতে পারে।

মুসুইয়া বলেন, ‘এই দুর্ভিক্ষ কোনো খরা কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফল নয়। এটি একটি সৃষ্ট বিপর্যয়—একটি যুদ্ধের ফল, যা ব্যাপক বেসামরিক মৃত্যু, আহত, ধ্বংস ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ডেকে এনেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ১১:০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
১৫ বার পড়া হয়েছে

প্রকট আকার ধারণ করেছে গাজার দুর্ভিক্ষ, ক্ষুধায় মৃত্যু ১০

আপডেট সময় ১১:০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ এখন বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের অবরোধ ও ধারাবাহিক বোমাবর্ষণের কারণে জরুরি জীবনরক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছাতে না পারায় শিশুরা ক্রমবর্ধমান হারে ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে।

বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক কড়া বক্তব্যে কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ ও ব্যাপক ক্ষুধা একটি ‘পরিকল্পিত’ ও ‘মানুষ সৃষ্ট’ বিপর্যয়।

জাতিসংঘের উপ-মানবিক প্রধান জয়েস মুসুইয়া পরিষদকে জানিয়েছেন, গাজার উত্তর-মধ্য গভর্নরেটে (যেখানে গাজা শহর অবস্থিত) দুর্ভিক্ষ নিশ্চিতভাবে শুরু হয়েছে।

আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এটি দক্ষিণে দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনুস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ৬ লাখ ৪০ হাজার ছাড়াতে পারে। গাজার এমন কোনো মানুষ নেই, যিনি ক্ষুধার অভিঘাত থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।

তিনি আরো জানান, পাঁচ বছরের নিচে অন্তত ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ হাজার শিশু আসন্ন মাসগুলোতে জীবন-সংকটের মুখোমুখি হতে পারে।

মুসুইয়া বলেন, ‘এই দুর্ভিক্ষ কোনো খরা কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফল নয়। এটি একটি সৃষ্ট বিপর্যয়—একটি যুদ্ধের ফল, যা ব্যাপক বেসামরিক মৃত্যু, আহত, ধ্বংস ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ডেকে এনেছে।