সিলেটে সন্ত্রাসী নাহিদের হামলায় মৃত্যু পথযাএী শওকত, নগদ টাকা লুট
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের টুলটিকর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শাহপরান থানাধীন কসবা কুইটুক এলাকায় সন্ত্রাসী নাহিদ ও তার সহযোগীদের হামলায় শওকত আহমদ (৫৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে শওকত আহমদ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ব্যাটারি চুরির ঘটনায় এলাকায় পঞ্চায়েত বৈঠক বসে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ফুটেজে দেখা যায়, নাহিদ আহমদ ও আরও দুজন শওকতের গ্যারেজ থেকে ব্যাটারি চুরি করেছেন। পরে পঞ্চায়েতে জিজ্ঞাসাবাদে নাহিদ চুরির কথা স্বীকার করে ব্যাটারি ফেরত দেন। তবে সে রাতেই শওকতকে হত্যার হুমকি দেন তিনি।
পরদিন রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে পরীক্ষার্থীকে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শওকতকে কৌশলে থামায় নাহিদের স্ত্রী নাইমা বেগম (কালো বোরকায় ছদ্মবেশে)। সিএনজি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে নাহিদ, তার স্ত্রী নাইমা, সহযোগী শিমুল ও আরও দুজন শওকতের ওপর দাঁড়ানো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে শওকতের মাথা, হাত ও পায়ে গুরুতর জখম হয়।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নাহিদ ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তারা বলেন, “এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর সহ্য করা হবে না।”
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শওকতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন। চার মেয়ের জনক শওকত পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।
ঘটনার পর রোববার রাতে শাহপরান থানায় নাহিদ, তার স্ত্রী নাইমা, শিমুল ও বিউটি বেগমকে আসামি করে শওকতের মেয়ে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৮৭/২০২৫)। মামলায় নগদ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, সিএনজি ভাঙচুরে ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি এবং একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ভুক্তভোগীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।