ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসি কিছু দলের পার্টি অফিসে পরিণতি হয়েছে: হাসনাত

নিজস্ব সংবাদ :

ইসি কিছু দলের পার্টি অফিসে পরিণতি হয়েছে: হাসনাত

নির্বাচন কমিশন (ইসি) কিছু রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে শুনানির সময় হাতাহাতির ঘটনায় সমালোচনা করে এমন মন্তব্য করেন এনসিপির এই নেতা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে শুনানির প্রথম দিনে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির দুই পক্ষ ও এনসিপির নেতাকর্মীরা। সেখানে বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন হাসনাত।

সীমানা নির্ধারণের শুনানিতে অংশ নিয়ে বিএনপির রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন।

যুক্তিতর্কের এক পর্যায়ে হট্টগোল শুরু হয়, যা হাতাহাতিতে গড়ায়। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আবার কোনো মঞ্চস্থ নির্বাচন দেখতে চায় না।”

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কড়া সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, “তিনি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। তিনি যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে ধরে নেব এগুলো বিএনপির হাইকমান্ড থেকে বলানো হচ্ছে।”

অভিযোগের সুরে হাসনাত বলেন, “বিএনপি এবং জামাতসহ অন্যান্য যে রাজনৈতিক ক্রিয়াশীল দলগুলো রয়েছে, তারা এই নির্বাচন কমিশনে কতটা-কীভাবে প্রভাব বিস্তার করে এবং এখানে যে কমিশনাররা রয়েছেন, তারা ওসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কে কীভাবে সম্পৃক্ত তার সব জানা আছে। শুধু নির্বাচন কমিশন না, বাংলাদেশের যে অফিসগুলো রয়েছে; সচিবালয় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের পুলিশ- কে কাকে মেনটেইন করে আমরা তা শুনেছি।”

“এখানকার কমিশনার যারা রয়েছেন, তারা ‘পিক অ্যান্ড চুজ’-ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছেন। আমরা তাদের বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকাকে সাপোর্ট করি। আজকে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, পুরো বাংলাদেশ তার সাক্ষী হয়েছে। এটি মূলত হচ্ছে আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে এবং সেই নির্বাচনে এই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী হবে এবং আগামী নির্বাচনে বিএনপি কী ভূমিকা রাখবে এবং পুলিশ কী দর্শকের ভূমিকা রাখবে কি না, সেটি আজকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।”

তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন কীভাবে বিএনপির একজন নেত্রী বলছেন, আমরা চাইলে এখানে গুণ্ডা নিয়ে আসতে পারতাম। অর্থাৎ তারা গুণ্ডার পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। আমরা বারবার বলে এসেছি, একটি গ্রহণযোগ্য অবাদ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে যেতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আবার গুণ্ডাতন্ত্রের দিকে যেতে চায় না।” ‍

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হাসনাত বলেন, “আমাদের একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এই নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই দলমত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুবা আমরা এই নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের দাবি তুলব। এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল, সে আস্থা ক্রমশ ক্ষীয়মাণ।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৬:১২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
৯৩ বার পড়া হয়েছে

ইসি কিছু দলের পার্টি অফিসে পরিণতি হয়েছে: হাসনাত

আপডেট সময় ০৬:১২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

নির্বাচন কমিশন (ইসি) কিছু রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে শুনানির সময় হাতাহাতির ঘটনায় সমালোচনা করে এমন মন্তব্য করেন এনসিপির এই নেতা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে শুনানির প্রথম দিনে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির দুই পক্ষ ও এনসিপির নেতাকর্মীরা। সেখানে বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন হাসনাত।

সীমানা নির্ধারণের শুনানিতে অংশ নিয়ে বিএনপির রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন।

যুক্তিতর্কের এক পর্যায়ে হট্টগোল শুরু হয়, যা হাতাহাতিতে গড়ায়। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আবার কোনো মঞ্চস্থ নির্বাচন দেখতে চায় না।”

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কড়া সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, “তিনি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। তিনি যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে ধরে নেব এগুলো বিএনপির হাইকমান্ড থেকে বলানো হচ্ছে।”

অভিযোগের সুরে হাসনাত বলেন, “বিএনপি এবং জামাতসহ অন্যান্য যে রাজনৈতিক ক্রিয়াশীল দলগুলো রয়েছে, তারা এই নির্বাচন কমিশনে কতটা-কীভাবে প্রভাব বিস্তার করে এবং এখানে যে কমিশনাররা রয়েছেন, তারা ওসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কে কীভাবে সম্পৃক্ত তার সব জানা আছে। শুধু নির্বাচন কমিশন না, বাংলাদেশের যে অফিসগুলো রয়েছে; সচিবালয় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের পুলিশ- কে কাকে মেনটেইন করে আমরা তা শুনেছি।”

“এখানকার কমিশনার যারা রয়েছেন, তারা ‘পিক অ্যান্ড চুজ’-ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছেন। আমরা তাদের বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকাকে সাপোর্ট করি। আজকে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, পুরো বাংলাদেশ তার সাক্ষী হয়েছে। এটি মূলত হচ্ছে আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে এবং সেই নির্বাচনে এই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী হবে এবং আগামী নির্বাচনে বিএনপি কী ভূমিকা রাখবে এবং পুলিশ কী দর্শকের ভূমিকা রাখবে কি না, সেটি আজকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।”

তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন কীভাবে বিএনপির একজন নেত্রী বলছেন, আমরা চাইলে এখানে গুণ্ডা নিয়ে আসতে পারতাম। অর্থাৎ তারা গুণ্ডার পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। আমরা বারবার বলে এসেছি, একটি গ্রহণযোগ্য অবাদ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে যেতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আবার গুণ্ডাতন্ত্রের দিকে যেতে চায় না।” ‍

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হাসনাত বলেন, “আমাদের একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এই নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই দলমত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুবা আমরা এই নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের দাবি তুলব। এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল, সে আস্থা ক্রমশ ক্ষীয়মাণ।”