ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা দখল ঠেকাতে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যের ডাক তুরস্কের

নিজস্ব সংবাদ :

গাজা দখল ঠেকাতে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যের ডাক তুরস্কের

বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে একজোট হয়ে ফিলিস্তিনের গাজা নগরী দখলে বর্বর ইসরায়েলের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।

শনিবার মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

এর আগে, শুক্রবার আঞ্চলিক শক্তি মিসর ও তুরস্ক উভয়ই ইসরায়েলের গাজা নগরী দখলের ওই পরিকল্পনার নিন্দা জানায়।

আঙ্কারা বলেছে, এটি ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক ও সম্প্রসারণবাদী নীতির’ নতুন ধাপ এবং পরিকল্পনা ঠেকাতে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

ইসরায়েল অবশ্য গাজায় তাদের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এল আলামেইনে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তির সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ফিদান বলেন, ইসরায়েলি ওই পরিকল্পনা ইস্যুতে আলোচনা করার জন্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের অভুক্ত রেখে জমি থেকে উচ্ছেদ ও স্থায়ীভাবে গাজা দখল করাই ইসরায়েলের নীতি। ইসরায়েলকে সমর্থন করার মতো কোনও গ্রহণযোগ্য অজুহাত নেই।

যদিও গাজায় অনাহারের নীতি অনুসরণের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েল বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আত্মসমর্পণ করলে যুদ্ধ শেষ হতে পারে।

মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তি বলেন, গাজায় আজ যা ঘটছে, তা কেবল ফিলিস্তিনিদের কিংবা প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য নয়। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এক পরিস্থিতি। ইসরায়েলের এই পরিকল্পনা অগ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন, গাজা নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে মিসরের পূর্ণ সমন্বয় রয়েছে এবং শনিবার ওআইসির মন্ত্রিপরিষদ কমিটি যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে ইসরায়েলের পরিকল্পনার নিন্দা জানানো হয়েছে।

ওআইসির মন্ত্রিপরিষদ কমিটি বলেছে, ইসরায়েলের পরিকল্পনা বিপজ্জনক ও অগ্রহণযোগ্য উসকানি, আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং অবৈধ দখলকে স্থায়ী করার চেষ্টা; যা শান্তির সব সুযোগ ধ্বংস করে দেবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের অবসানে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য গত কয়েক মাস ধরে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী দল কাজ করছে।

ওআইসি বিশ্বের বিভিন্ন পরাশক্তি ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে গাজা সংকটে আইনি ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর এই সংগঠন ইসরায়েলের গাজা নগরী দখল পরিকল্পনা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলকে অবিলম্বে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৫:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
২৬ বার পড়া হয়েছে

গাজা দখল ঠেকাতে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যের ডাক তুরস্কের

আপডেট সময় ০৫:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে একজোট হয়ে ফিলিস্তিনের গাজা নগরী দখলে বর্বর ইসরায়েলের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।

শনিবার মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

এর আগে, শুক্রবার আঞ্চলিক শক্তি মিসর ও তুরস্ক উভয়ই ইসরায়েলের গাজা নগরী দখলের ওই পরিকল্পনার নিন্দা জানায়।

আঙ্কারা বলেছে, এটি ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক ও সম্প্রসারণবাদী নীতির’ নতুন ধাপ এবং পরিকল্পনা ঠেকাতে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

ইসরায়েল অবশ্য গাজায় তাদের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এল আলামেইনে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তির সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ফিদান বলেন, ইসরায়েলি ওই পরিকল্পনা ইস্যুতে আলোচনা করার জন্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের অভুক্ত রেখে জমি থেকে উচ্ছেদ ও স্থায়ীভাবে গাজা দখল করাই ইসরায়েলের নীতি। ইসরায়েলকে সমর্থন করার মতো কোনও গ্রহণযোগ্য অজুহাত নেই।

যদিও গাজায় অনাহারের নীতি অনুসরণের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েল বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আত্মসমর্পণ করলে যুদ্ধ শেষ হতে পারে।

মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তি বলেন, গাজায় আজ যা ঘটছে, তা কেবল ফিলিস্তিনিদের কিংবা প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য নয়। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এক পরিস্থিতি। ইসরায়েলের এই পরিকল্পনা অগ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন, গাজা নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে মিসরের পূর্ণ সমন্বয় রয়েছে এবং শনিবার ওআইসির মন্ত্রিপরিষদ কমিটি যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে ইসরায়েলের পরিকল্পনার নিন্দা জানানো হয়েছে।

ওআইসির মন্ত্রিপরিষদ কমিটি বলেছে, ইসরায়েলের পরিকল্পনা বিপজ্জনক ও অগ্রহণযোগ্য উসকানি, আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং অবৈধ দখলকে স্থায়ী করার চেষ্টা; যা শান্তির সব সুযোগ ধ্বংস করে দেবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের অবসানে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য গত কয়েক মাস ধরে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী দল কাজ করছে।

ওআইসি বিশ্বের বিভিন্ন পরাশক্তি ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে গাজা সংকটে আইনি ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর এই সংগঠন ইসরায়েলের গাজা নগরী দখল পরিকল্পনা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলকে অবিলম্বে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।