ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব গণমাধ্যমে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর

নিজস্ব সংবাদ :

 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। বিবিসি, আল জাজিরা, বার্তা সংস্থা রয়টার্স, টিআরটি ওয়ার্ল্ড থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমগুলোতে ওসমান হাদির মৃত্যু সংবাদ প্রচার করা হয়।

বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ‘তরুণ নেতার মৃত্যুর খবরে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে লাইভ সম্প্রচার শুরু করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এক তরুণ নেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন শরীফ ওসমান বিন হাদি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার সেখানে মারা যান তিনি। তিনি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
বিবিসির খবরে আরো বলা হয়, বৃহস্পতিবার হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি মুহূর্তের মধ্যেই সহিংস হয়ে ওঠে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, হাদির মৃত্যুকে জাতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি বলে অভিহিত করেছেন।
রয়টার্স শিরোনাম করেছে, ‘ছাত্রনেতার মৃত্যুর পর অস্থিরতায় কেঁপে উঠল বাংলাদেশ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন জনপ্রিয় তরুণ নেতার মৃত্যুর খবরে শুরু হওয়া সহিংস বিক্ষোভের কারণে শুক্রবার ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য শহরে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে আরো অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এই নির্বাচনে নিহত এই নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। সকালে রাস্তাঘাট শান্ত থাকলেও দেশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিনের শেষে শুক্রবারের নামাজের পরে নতুন করে সহিংসতা দেখা দিতে পারে বলে তারা উদ্বিগ্ন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ৩২ বছর বয়সী শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র। তিনি গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে পরিচালিত ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হওয়ার সময়, গত শুক্রবার ঢাকায় দুর্বৃত্তরা তার মাথায় গুলি করে।

হাদিকে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
‘অ্যাক্টিভিস্ট শরীফ হাদির মৃত্যুর পর সহিংসতা’ শিরোনামে আলজাজিরাও লাইফ সম্প্রচার শুরু করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ছাত্র আন্দোলনের এক পরিচিত যুবনেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ওই আন্দোলনের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। ৩২ বছর বয়সী শরীফ ওসমান হাদি গত সপ্তাহে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন এবং বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মারা যান।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রতিনিধিদের মতে, রাতভর কিছু ভবনে ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শনিবার শোক দিবস ঘোষণা করেছেন এবং সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড শিরোনাম করেছে, ‘তরুণ নেতাকে হত্যা, বাংলাদেশে বিক্ষোভ’। খবরে বলা হয়, তরুণ নেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর রাজধানী ঢাকায় হাজারো বিক্ষোভকারীর ঢল নামে। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাদি। তিনি চব্বিশের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। গত সপ্তাহে রাজধানীতে তাকে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হাদির মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়া জনতা তার নামে আবেগঘন স্লোগান দেয়। পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দায়ীদের দ্রুত বিচার ও জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৪:১৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
৮ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব গণমাধ্যমে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর

আপডেট সময় ০৪:১৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। বিবিসি, আল জাজিরা, বার্তা সংস্থা রয়টার্স, টিআরটি ওয়ার্ল্ড থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমগুলোতে ওসমান হাদির মৃত্যু সংবাদ প্রচার করা হয়।

বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ‘তরুণ নেতার মৃত্যুর খবরে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে লাইভ সম্প্রচার শুরু করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এক তরুণ নেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন শরীফ ওসমান বিন হাদি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার সেখানে মারা যান তিনি। তিনি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
বিবিসির খবরে আরো বলা হয়, বৃহস্পতিবার হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি মুহূর্তের মধ্যেই সহিংস হয়ে ওঠে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, হাদির মৃত্যুকে জাতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি বলে অভিহিত করেছেন।
রয়টার্স শিরোনাম করেছে, ‘ছাত্রনেতার মৃত্যুর পর অস্থিরতায় কেঁপে উঠল বাংলাদেশ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন জনপ্রিয় তরুণ নেতার মৃত্যুর খবরে শুরু হওয়া সহিংস বিক্ষোভের কারণে শুক্রবার ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য শহরে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে আরো অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এই নির্বাচনে নিহত এই নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। সকালে রাস্তাঘাট শান্ত থাকলেও দেশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিনের শেষে শুক্রবারের নামাজের পরে নতুন করে সহিংসতা দেখা দিতে পারে বলে তারা উদ্বিগ্ন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ৩২ বছর বয়সী শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র। তিনি গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে পরিচালিত ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হওয়ার সময়, গত শুক্রবার ঢাকায় দুর্বৃত্তরা তার মাথায় গুলি করে।

হাদিকে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
‘অ্যাক্টিভিস্ট শরীফ হাদির মৃত্যুর পর সহিংসতা’ শিরোনামে আলজাজিরাও লাইফ সম্প্রচার শুরু করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ছাত্র আন্দোলনের এক পরিচিত যুবনেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ওই আন্দোলনের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। ৩২ বছর বয়সী শরীফ ওসমান হাদি গত সপ্তাহে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন এবং বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মারা যান।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রতিনিধিদের মতে, রাতভর কিছু ভবনে ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শনিবার শোক দিবস ঘোষণা করেছেন এবং সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড শিরোনাম করেছে, ‘তরুণ নেতাকে হত্যা, বাংলাদেশে বিক্ষোভ’। খবরে বলা হয়, তরুণ নেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর রাজধানী ঢাকায় হাজারো বিক্ষোভকারীর ঢল নামে। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাদি। তিনি চব্বিশের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। গত সপ্তাহে রাজধানীতে তাকে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হাদির মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়া জনতা তার নামে আবেগঘন স্লোগান দেয়। পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দায়ীদের দ্রুত বিচার ও জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।