ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্কের ঐতিহাসিক ‍‍‘নীল মসজিদ‍‍’ পরিদর্শন করলেন পোপ লিও

নিজস্ব সংবাদ :

পোপ নির্বাচিত হয়ে প্রথমবারের মতো তুরস্ক সফরে গিয়ে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক নীল মসজিদ (ব্লু মস্ক) পরিদর্শন করেছেন পোপ লিও চতুর্দশ। স্থানীয় মুসলিম নেতাদের সঙ্গে গতকাল শনিবার তিনি মসজিদে প্রবেশ করেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে জুতা খুলে পুরো মসজিদ ঘুরে দেখেন তিনি। তবে সেখানে কোনো প্রার্থনা করেননি।

সপ্তদশ শতাব্দীর অটোমান স্থাপত্যের অনন্য উদাহরণ নীল মসজিদটি ফিরোজা রঙের সিরামিক টাইলসে সজ্জিত। মসজিদের মুয়াজ্জিন আশগিন তুনকা জানান, পোপকে তিনি প্রার্থনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু পোপ লিও বলেন, তিনি কেবল ‘ঘুরে দেখতে’ চান।

এ সফরকে ঘিরে ভ্যাটিকান প্রেস অফিসের একটি ভুল বিবৃতি কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, পোপ মসজিদে প্রার্থনা করেছেন এবং তুরস্কের রাষ্ট্রীয় ধর্মীয় সংস্থার প্রধান তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও ঘটনা দুটির কোনটিই ঘটেনি। পরে ভ্যাটিকান স্বীকার করে, এ বিবৃতি ভুলবশত পাঠানো হয়েছিল।নীল মসজিদে এর আগে আরো দুই পোপ গিয়েছিলেন।

২০১৪ সালে পোপ ফ্রান্সিস সেখানে দুই মিনিট নীরবে প্রার্থনা করেন। ২০০৬ সালে পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শও কিছুক্ষণ প্রার্থনা করেছিলেন—যা ইতিহাসে প্রথম কোনো পোপের মসজিদে প্রার্থনার ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

২০০১ সালে সিরিয়ার একটি মসজিদে সফর করা জন পল দ্বিতীয় ছিলেন প্রথম ক্যাথলিক পোপ যিনি মুসলিম উপাসনালয়ে প্রবেশ করেন। গত ছয় দশক ধরে ক্যাথলিক চার্চ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সক্রিয় সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। পোপ লিও তুরস্কের খ্রিষ্টান চার্চগুলোর বিভিন্ন নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০৪:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫
৩৭ বার পড়া হয়েছে

তুরস্কের ঐতিহাসিক ‍‍‘নীল মসজিদ‍‍’ পরিদর্শন করলেন পোপ লিও

আপডেট সময় ০৪:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫

পোপ নির্বাচিত হয়ে প্রথমবারের মতো তুরস্ক সফরে গিয়ে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক নীল মসজিদ (ব্লু মস্ক) পরিদর্শন করেছেন পোপ লিও চতুর্দশ। স্থানীয় মুসলিম নেতাদের সঙ্গে গতকাল শনিবার তিনি মসজিদে প্রবেশ করেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে জুতা খুলে পুরো মসজিদ ঘুরে দেখেন তিনি। তবে সেখানে কোনো প্রার্থনা করেননি।

সপ্তদশ শতাব্দীর অটোমান স্থাপত্যের অনন্য উদাহরণ নীল মসজিদটি ফিরোজা রঙের সিরামিক টাইলসে সজ্জিত। মসজিদের মুয়াজ্জিন আশগিন তুনকা জানান, পোপকে তিনি প্রার্থনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু পোপ লিও বলেন, তিনি কেবল ‘ঘুরে দেখতে’ চান।

এ সফরকে ঘিরে ভ্যাটিকান প্রেস অফিসের একটি ভুল বিবৃতি কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, পোপ মসজিদে প্রার্থনা করেছেন এবং তুরস্কের রাষ্ট্রীয় ধর্মীয় সংস্থার প্রধান তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও ঘটনা দুটির কোনটিই ঘটেনি। পরে ভ্যাটিকান স্বীকার করে, এ বিবৃতি ভুলবশত পাঠানো হয়েছিল।নীল মসজিদে এর আগে আরো দুই পোপ গিয়েছিলেন।

২০১৪ সালে পোপ ফ্রান্সিস সেখানে দুই মিনিট নীরবে প্রার্থনা করেন। ২০০৬ সালে পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শও কিছুক্ষণ প্রার্থনা করেছিলেন—যা ইতিহাসে প্রথম কোনো পোপের মসজিদে প্রার্থনার ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

২০০১ সালে সিরিয়ার একটি মসজিদে সফর করা জন পল দ্বিতীয় ছিলেন প্রথম ক্যাথলিক পোপ যিনি মুসলিম উপাসনালয়ে প্রবেশ করেন। গত ছয় দশক ধরে ক্যাথলিক চার্চ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সক্রিয় সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। পোপ লিও তুরস্কের খ্রিষ্টান চার্চগুলোর বিভিন্ন নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।