সিলেট নগরে অবৈধ অটোরিকশা সরাতে প্রশাসনের আলটিমেটাম
সিলেট নগরে বাধাহীন চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। অভিজ্ঞতা ছাড়াই অনেকে চালক হয় যান এসব অটোরিকশার। জানেন না ট্রাফিক আইন। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা।
নগরের যত্রতত্র গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক স্ট্যান্ড। সিলেট নগরে বাধাহীন চলাচল করা এসব সিএনজিচালিত অবৈধ অটোরিকশা সরিয়ে নিতে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম এই সময়সীমা বেঁধে দেন।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. সারওয়ার আলম বলেন, ‘সিলেট নগরে সিএনজিচালিত বৈধ অটোরিকশা আছে ১৯ হাজার।
তবে অবৈধ অটোরিকশা আছে তার চেয়েও বেশি। এগুলোকে নগরে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অবৈধ অটোরিকশা চালকদের ১৫ দিনের সময় দিয়েছি। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেসব সিএনজি শহরে চলাচলের লাইসেন্স নেই সেগুলো শহরের বাইরে সরিয়ে নিতে হবে।
এগুলো বিভিন্ন উপজেলায় চলে যাবে। এই সময়ের মধ্যে না সরালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হবে। প্রয়োজনে ডাম্পিং করা হবে।’
নগরজুড়ে সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ পার্কিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের জন্য পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। পার্কিংয়ের জন্য কোথায় কোথায় ব্যবস্থা করা যায় তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
তবে সিএনজি চালকরা অনেক সময় পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে সড়কে চলে আসে। এতে যানজট সৃষ্টি হয়। এখন আমরা তাদের সতর্ক করছি। তারপরও তারা নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ভেতরে গাড়ি পার্কিং না করে বাইরে সড়কে পার্কিং করা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এটি আসলে অভ্যাসগত বিষয়। অভ্যাসের কারণে তারা আইন মানছে না। আমরা তাদের এই কাজটি না করতে বুঝানোর চেষ্টা করছি। কথা না শুনলে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’





















