সিলেটের ধোপাগুল এলাকা থেকে লক্ষাধিক ঘনফুট সাদাপাথর জব্দ
সিলেটের ধোপাগুল এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সালুটিকর এলাকায় অভিযান চালিয়ে লুট ও চুরি হওয়া প্রায় লক্ষাধিক ঘনফুট সাদাপাথর জব্দ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়ে ৬টার দিকে শেষ হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) এর অধিনায়ক ও উইং কমান্ডার তাজমিনুর রহমান চৌধুরী ও সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াতের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রশাসন ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
র্যাব-৯ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের ধোপাগুল ও সালুটিকর ছালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রাথমিকভাবে পরিমাপে এখানে ৬৪ হাজার ঘনফুট পাথর পাওয়া গেলেও ধারণা করা হচ্ছে শেষপর্যন্ত জব্দকৃত পাথরের পরিমাণ লক্ষাধিক ঘনফুট হতে পারে। এবং এই লক্ষাধিক ঘনফুট সাদাপাথর উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত পাথরগুলো একটি ক্রাশার মেশিনের পাশে পাওয়া গেছে।
র্যাব আরও জানায়, ক্রাশার মেশিন রেডি করে পাথরগুলো ভেঙ্গে সেগুলো পাচার কার্যক্রম চলছিল। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত পাথরের মালিকদের খোঁজ বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, ‘সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, ‘প্রাথমিক পরিমাপে এখানে ৬৪ হাজার ঘনফুট পাথর পাওয়া গেলেও ধারণা করা হচ্ছে শেষপর্যন্ত জব্দকৃত পাথরের পরিমাণ লক্ষাধিক ঘনফুট হতে পারে। পাথরগুলো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছি আমরা। পাথর মালিককে খুঁজতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) এর অধিনায়ক ও উইং কমান্ডার তাজমিনুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘র্যাব-৯ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে প্রায় লক্ষাধিক ঘনফুট সাদাপাথর উদ্ধার করা হয়েছে। পাথরগুলো মূলত তারা মাটির নিচে রেখে পরে ভেঙে পাচার করতো। যারা এ পাথর পাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।