ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শহীদ মিনারে বদরুদ্দীন উমরের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

নিজস্ব সংবাদ :

শহীদ মিনারে বদরুদ্দীন উমরের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

দেশের রাজনীতির অন্যতম পুরোধা, লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বদরুদ্দীন উমরের মরদেহ ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদনপর্ব। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বদরুদ্দীন উমরের মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। বাদ জোহর জানাজার পর জুরাইন কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বদরুদ্দীন উমর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। সর্বশেষ তিনি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বদরুদ্দীন উমর ১৯৩১ সালে ২০ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আবুল হাশিম ছিলেন বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক। পণ্ডিত পিতার সাহচর্য পেয়েছেন বদরুদ্দীন উমর। তার পরিবার ও বংশের সদস্যরা কমবেশি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিশেষত, কমিউনিস্ট পার্টিতে তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন অনেকে। জ্ঞানেগুণে সুবিস্তৃত ছিল তার পরিবার। মেধা মনন প্রজ্ঞার সঙ্গে তৈরি হয় উন্নত রুচিবোধ।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করার আগেই ১৯৫৪ সালে দর্শন বিভাগে অস্থায়ীভাবে শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে এমএ পাস করার পরের বছর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে এবং ১৯৫৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি এই তিন বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন তিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগেরও তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা।

ষাটের দশকে প্রকাশিত তার তিনটি বই সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৬), সংস্কৃতির সংকট (১৯৬৭) ও সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৯) তত্ত্বকালে বাঙালী জাতীয়তাবাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সময় পাকিস্তান সরকারের সাথে তার বিরোধ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং তিনি নিজেই ১৯৬৮ সালে অধ্যাপনার কাজে ইস্তফা দিয়ে সরাসরি রাজনীতি ও সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুহিন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
আপডেট সময় ০২:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৭ বার পড়া হয়েছে

শহীদ মিনারে বদরুদ্দীন উমরের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

আপডেট সময় ০২:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের রাজনীতির অন্যতম পুরোধা, লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বদরুদ্দীন উমরের মরদেহ ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদনপর্ব। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বদরুদ্দীন উমরের মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। বাদ জোহর জানাজার পর জুরাইন কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বদরুদ্দীন উমর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। সর্বশেষ তিনি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বদরুদ্দীন উমর ১৯৩১ সালে ২০ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আবুল হাশিম ছিলেন বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক। পণ্ডিত পিতার সাহচর্য পেয়েছেন বদরুদ্দীন উমর। তার পরিবার ও বংশের সদস্যরা কমবেশি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিশেষত, কমিউনিস্ট পার্টিতে তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন অনেকে। জ্ঞানেগুণে সুবিস্তৃত ছিল তার পরিবার। মেধা মনন প্রজ্ঞার সঙ্গে তৈরি হয় উন্নত রুচিবোধ।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করার আগেই ১৯৫৪ সালে দর্শন বিভাগে অস্থায়ীভাবে শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে এমএ পাস করার পরের বছর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে এবং ১৯৫৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি এই তিন বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন তিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগেরও তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা।

ষাটের দশকে প্রকাশিত তার তিনটি বই সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৬), সংস্কৃতির সংকট (১৯৬৭) ও সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৯) তত্ত্বকালে বাঙালী জাতীয়তাবাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সময় পাকিস্তান সরকারের সাথে তার বিরোধ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং তিনি নিজেই ১৯৬৮ সালে অধ্যাপনার কাজে ইস্তফা দিয়ে সরাসরি রাজনীতি ও সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।